নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ও নদীয়া ) : রবিবার পানাগড় বায়ু সেনা ছাউনিতে নিয়ে আসা হলো পাক সেনা হামলায় নিহত শহীদের শবদেহ। তাকে পানাগড় বায়ু সেনা ছাউনিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গান সেলুট দিয়ে সম্মান জানান বায়ু সেনা আধিকারিকরা।
গত শুক্রবার জম্মু কাশ্মীরে পাক সেনারা হামলায় শহীদ হন নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বছর চব্বিশের সুবোধ ঘোষ। রবিবার তার শবদেহ পানাগড় বাইসেনা ছাউনিতে নিয়ে আসার খবর চাউর হতেই পানাগড় বায়ু সেনা ছাউনির সামনে ভিড় জমান পানাগড়ের বাসিন্দারা । জাতীয় পতাকা নিয়ে শহীদ কে শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। পানাগড় বায়ু সেনা ছাউনি থেকে এদিন বায়ু সেনার বিশেষ প্লেনে করে তার শবদেহ নিয়ে আসার পর সড়ক পথে সেনার গাড়িতে করে তার সব দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার বাড়ির উদ্যেশ্যে।
দীপাবলীর আলোর মাঝেই, নদীয়ার তেহট্টে নেমে এল শোকের ছায়া। শুক্রবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাক সেনা সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে। তাতে মৃত্যু হয় ৫ ভারতীয় সেনা সহ ৬ নাগরিকের। আর মৃত ৫ ভারতীয় জওয়ানের মধ্যে রয়েছেন নদীয়ার তেহট্ট থানার অন্তর্গত রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর চব্বিশের সুবোধ ঘোষ। এদনিই তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছয় পরিবারের কাছে। সুবোধের একটি তিন মাসের সন্তান রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে মাস কয়েক আগে বাড়িতে এসেছিলেন সুবোধ। কিছুদিন থাকার পর শ্রাবণ মাসের ১৫ তারিখ নাগাদ ফের কর্মস্থলে ফিরে যান। স্ত্রীকে বলেছিলেন, সামনের মাসেই ছুটিতে বাড়ি আসবেন। কিন্তু ফেরা আর হল না। সুবোধের স্ত্রী অনিন্দিতা ঘোষ জানালেন, ‘বৃহস্পতিবার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বহুবার ফোন করে মেয়ের খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে ফোন বন্ধ। তখনও বুঝিনি আমার এমন সর্বনাশ হয়েছে।’ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে পুত্র সন্তানকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে সুবোধের পরিবার। ২০১৬ সালে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে যোগদান করেছিলেন তরুণ সুবোধ। এরপর পাঞ্জাবে অনুশীলন সমাপ্ত করার পর জম্মু কাশ্মীরে পোস্টিং হয় তাঁর।